AMIE কি? কোথায়? কাদের জন্য?
AMIE হলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB) পরিচালিত একটি পরীক্ষার নাম, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আইইবি-র এসোসিয়েট মেম্বারশিপ দেওয়া হয় এবং একই সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিটের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন "প্রকৌশলী" হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পেয়ে থাকেন । এএমআইই(section-A এবং section-B) পাশকে "বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমমান" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং যোগ্যতার সকল সরকারী চাকুরীসমূহে এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী আবেদনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
- AMIE তে কখন কোন বিষয়ে ভর্তি হওয়া যাবে?
- ভর্তি হতে কি কি লাগবে ও কি করতে হবে?
- AMIE তে পড়তে মোট কত খরচ লাগবে?
- AMIE তে ক্লাস ও পরীক্ষা হয় কিভাবে?
- AMIE থেকে BSC Engineer এবং বিভিন্ন University থেকে BSC Engineer হওয়ার মধ্য কি কোনো পার্থক্য আছে?
- AMIE থেকে BCS Cadre বা BSC পোস্টে Apply করা যাবে কি?
AMIE তে কখন কোন বিষয়ে ভর্তি হওয়া যাবে?
★ Science থেকে HSC পাশের পর ২ বছর যেকোনো Engineering sector এ জব করলে ভর্তি হতে পারবে।
- Electrical Engineering (B.Sc)
- Mechanical Engineering (B.Sc)
- Civil Engineering (B.Sc)
- Chemical Engineering (B.Sc)
★AMIE এর যেকোনো শাখায় ভর্তি হতে পারবেন। AMIE এর চারটি শাখা রয়েছে, যথা: ঢাকা শাখা, রাজশাহী শাখা, চট্রোগ্রাম শাখা এবং খুলনা শাখা।
★ ভর্তির পর শাখা পাল্টাতে চাইলে পাল্টানো যাবে।
★প্রতি সেমিস্টারে যদি ৪টি করে কোর্স/ সাবজেক্ট নেন এবং কোনো পরীক্ষায় যদি ড্রপ বা ফেইল না করেন তাহলে সর্বনিম্ন সাড়ে তিন বছর লাগবে। তবে যদি কোর্স বা সাবজেক্ট কম করে নেন তাহলে বেশি সময় লাগবে। (বি:দ্র: আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতি পরীক্ষায় ১ থেকে ৪ টি সাব্জেক্ট নিতে পারবেন।)
AMIE তে ভর্তি হতে কি কি লাগবে ও কি করতে হবে?
★ পাসপোর্ট সাইজ ২ কপি ছবি
★S.S.C সর্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি (আইইবি'র Member/Fellow দ্বারা)
★ডিপ্লোমা পাশের সর্টিফিকেট (আইইবি'র Member/Fellow দ্বারা সত্যায়িত)
★ডিপ্লোমা পাশের Grade Sheet/ Transcript (আইইবি'র Member/Fellow দ্বারা সত্যায়িত)
★ভর্তির ফরম পূরণ করে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বা পরিচিত ২ জন IEB সদস্যের Recommendation ( signature) নিতে হবে।
★মার্কেন্টাইল ব্যাংক এর যে কোন শাখায় আইইবি'র পে-স্লিপ ( Pay Slip) এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে।
★টাকা জমা দেয়ার পর IEB এর যে শাখায় ভর্তি হতে চান, সে শাখায় উপরোক্ত document ও Pay Slip এর কপি আবেদন পত্রের সাথে যুক্ত করে জমা দিতে হবে।
AMIE তে পড়তে মোট কত খরচ লাগবে?
★বার্ষিক চাঁদা- ১,০০০/- টাকা
★বার্ষিক ছাত্রকল্যাণ তহবিল ফি-৫০/- টাকা
সর্বোমোট ৮৫৫০/- (আট হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ টাকা)
আইইবি'র পে-স্লিপ ( Pay Slip) এর মাধ্যমে মার্কেন্টাইল ব্যাংক এর যে কোন শাখায় টাকা জমা দিয়ে আইইবি'র যে কোন কেন্দ্র ভর্তি হওয়া যাবে।
আরো পড়ুন....
section-A তে subject ১১টি এবং section-B তে subject ১১টি। তাহলে মোট ফি (১২০০*২২)=২৬,৪০০ টাকা
প্রতি semester এ আপনি সর্বোচ্চ চারটি subject এ পরীক্ষা দিতে পারবেন (বছরে ২ সেমিস্টার)। অর্থাৎ আপনার সর্বোনিম্ন সময় লাগবে ৩.৫ বছর। তাহলে মোট বার্ষিক চাদা দিতে হবে= ৩,০০০ টাকা। ( ১ম বছরের চাদা ভর্তির সময় নিয়ে নিয়েছে)
★ বার্ষিক ছাত্রকল্যাণ তহবিল ফি-৫০। ভর্তি পরবর্তী ৩ বছরের ফি= ১৫০ টাকা
★ প্রতি semester এ গ্রেটশিট ফি= ৫০০ টাকা। তাহলে ৭ semester এর মোট ফি= ৩,৫০০ টাকা।
★ID card ফি= ১০০ টাকা (প্রথমবার)
★যদি আপনি প্রতি সেমিস্টারে কম কোরে subject নেন তবে আপনার সময় বেশি লাগবে। এতে semester ফি এবং বার্ষিক চাদার পরিমাণ বাড়বে।
★অতএব ৩.৫ বছরের মধ্যে complete করতে পারলে মোট খরচ পরবে = (৮,৫৫০+ ২৬,৪০০+ ৩,০০০+ ১৫০+ ৩,৫০০+ ১০০) = ৪১,৭০০ টাকা। বই, খাতা, কচিং ফি(যদি আপনি করেন) ইত্যাদি ব্যাক্তিগত খরচ আপনার উপর নির্ভর করবে।
AMIE তে ক্লাস ও পরীক্ষা হয় কিভাবে?
★section-A তে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং কোর্স এর ব্যাবস্থা করা হয় (AMIE কর্তৃক)। এই কোর্সে সবাইকেই বাধ্যতামূলকভাবে অংশ নিতে হবে। অংশ না নিলে section-B তে উত্তীর্ণ হওয়া যাবেনা।
★দেশের বিভিন্ন স্থানে AMIE এর কচিং সেন্টার রয়েছে, ভাল প্রিপারেশনের এর জন্য অনেকেই কচিং করে থাকে।
★একই প্রশ্নে, একই সময়ে সবগুলো সেন্টারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
★পরীক্ষার প্রশ্ন BUET থেকে করা হয়।
AMIE থেকে BSC Engineer এবং বিভিন্ন University থেকে BSC Engineer হওয়ার মধ্যে পার্থক্য:
বিভিন্ন University থেকে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ার এবং AMIE থেকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার মধ্য বেশ কিছু দৃশ্যমান পার্থক্য রয়েছে। নিচে পার্থক্য তুলে ধরা হলো:
★শাহজালাল বিঙ্গান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর IEB অনুমদন না থাকায় BSC Engineering করার পরেও নামের পূর্বে Engineer পদবি বসাতে পারেনা। অথচ AMIE থেকে BSC করলে নামের পূর্বে Engineer পদবি বসাতে পারে।
আরো পড়ুন.....★সকল University এর সকল ডিপার্টমেন্টে ক্রেডিট সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু AMIE এর কোনো ক্রেডিট সিস্টেম নেই।
★কোথায় পড়েন? প্রশ্নের উত্তরে সবাই ভার্সিটির নাম বলে। আর আমরা বলি AMIE তে পরি। এখানে উল্লেখ্য যে, AMIE বা IEB কোনো ভার্সিটি নয়, AMIE একটি পরীক্ষার নাম আর IEB একটি সংস্থার নাম।
আরো পড়ুন....★কেউ পাবলিক এ পড়ে আবার কেউ প্রাইভেট এ পড়ে। আপনি কিসে পড়েন? এই প্রশ্নের উত্তর হলো: যদি IEB এর অধিনে AMIE করেন তবে উত্তর হবে, "পাবলিকে পড়ি" । আর যদি কোনো প্রাইভেট ভার্সিটির আন্ডারে AMIE করেন তবে উত্তর হবে প্রাইভেট এ পড়ি।
বি.দ্র. AMIE থেকে সেকশন-এ এবং সেকশন-বি সম্পন্ন করার পর প্রাপ্ত Certificate এবং যে কোনো ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং Certificate এর মান সমান।
AMIE থেকে BCS Cadre বা B.Sc পোস্টে Apply করা যাবে কি?
— এটাএকটা কমন প্রশ্ন, প্রায়ই দেখা যায় শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নটি করে থাকেন। উত্তরটাও কমন: হ্যা অবশ্যই বি.সি.এস পরীক্ষা দিতে পারবেন।
★ টেকনিক্যাল/ প্রফেশনাল ক্যাডার পোষ্টে পরীক্ষা দেয়া যাবে। যেমন: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়লে সিভিল ডিপার্টমেন্টের পোস্টগুলোতে অনুরুপ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়লে ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের পোস্টগুলোতে আবেদন করতে পারবেন।
★প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, পররাষ্ট্রসহ সাধারণ ক্যাডারের সবগুলোতেই আবেদন করতে পারবেন।
★বিসিএস এ অংশগ্রহণ করতে হলে AMIE এর AওB section পাশ করতে হবে।
★উদাহরণস্বরূপ 41th BCS Circular টা দেখুন
★যেকোনো বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও AMIE স্টুডেন্টদের বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং সমমানের পদে নিয়োগ দিতে বাধ্য থাকবেন।
আরো পড়ুন....
AMIE te porle Engineer lekha jabe na hoi lekha jabe na. ata gov. er kon gaget lekha hoichhe.bolben ki?pls reference ta dile onek upokito hotam....