IEB Bangladesh এর বিস্তারিত বিবরণ

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB)
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৪৮
ওয়েবসাইট: http://www.iebbd.org/

আইইবি এর পূর্ণরূপ: Institution of Engineers Bangladesh

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস:

ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশ সরকারের শাসন পতন ঘটার পর যখন পাকিস্তান স্বাধীন হয় তখন কয়েকজন উচ্চ পদস্থ  ইঞ্জিনিয়ার, সমগ্র পাকিস্তানের ইঞ্জিনিয়ারদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের একটি প্রফেশনাল ফোরাম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৮ সালে Engineers Institution, Pakistan প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার সদর দপ্তর ছিল ঢাকা, বাংলাদেশে। এরপর তৎকালিন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ৭ই মে, ১৯৪৮ সালে ঢাকাতে Engineers Institution এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ী হবার পর Engineers Institution, Pakistan (IEP) থেকে পরিবর্তন করে Engineers Institution, Bangladesh (IEB) নাম করণ করা হয়।

IEB সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ দ্বারা নিবন্ধিত, যা বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন। IEB তে বর্তমানে সকল Engineering Department অন্তর্ভুক্ত। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই IEB প্রকৌশল ও বিজ্ঞানের জ্ঞান এবং অণুশীলন প্রচার করছে। IEB এর প্রধান লক্ষ্য হল ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাদার শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করা এবং দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের ক্রমাগত পেশাদারী উন্নয়ন সাধন করা। এটি দেশের ও বিদেশের অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের ঘনিষ্ঠতা স্থাপন এবং সহযোগিতার কাজ নিরলসভাবে করে যাচ্ছে।

সদস্যপদ পাবার জন্য যা করণীয়:

IEB এর সদস্য হতে হলে এর আওতাভুক্ত দেশী/বিদেশী সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনে (IEB - অণুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে BSc Engineering অথবা, Master of Science in Engineering) সমপন্ন করার পর এখানে সদস্য হতে পারেন। বর্তমানে IEB এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪১,৫৪৫ জন। যাদের মধ্যে প্রায় ৩০% ফেলো, ৬০% সদস্য এবং বাকিরা সহযোগী সদস্য।

বাংলাদেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায়, সকল বিশ্ববিদ্যালয় IEB কর্তৃক স্বীকৃত না। ঐতিহ্যগতভাবে IEB এর ক্রীম হল BUET, DUET, KUET, CUET ও RUET। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে EEE পড়ায়, কিন্ত সেটা IEB স্বীকৃত না। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিও স্বীকৃত না। এজন্য যদি আপনি IEB এর মেম্বার হতে চান তবে অবশ্যই আগে জেনে নিবেন যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান সেই প্রতিষ্ঠানের IEB অনুমোদন আছে কিনা।

যাহোক আপনার ডিগ্রি যদি স্বীকৃত হয় তবে পাশ করার সাথে সাথেই IEB এর মেম্বার হবার জন্য আবেদন করতে পারবেন, কিন্ত তখন হবেন এসোসিয়েট মেম্বার। চার-পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা হলে মেম্বার হতে পারবেন। তবে পুনরায় আবেদন করতে হবে। দশ-পনের বছরের অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে ফেলো হওয়া যায়। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে সরাসরি মেম্বার বা ফেলো পদেও আবেদন করা যায়।


Next Post


Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous May 18, 2024 at 3:22 AM

    এসোসিয়েট মেম্বার, মেম্বার,ফেলো মেম্বারের মধ্যে পার্থক্য কি ? একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি শেষ করা এসোসিয়েট মেম্বার কত তলা পর্যন্ত ভবনের নকশা সিটি / রাজউক ইত্যাদি থেকে অনুমদন করিয়ে নিতে পারবে ? বাকিরা কত পর্যন্ত পারবে ? আইইবি মেম্বারসিপ ছাড়া , আইইবি অনুমদিত প্রতিষ্ঠানের বাইরে পড়াশোনা করে সিভিলে স্নাতক শেষ করার পরে তার সাক্ষর দিয়ে রাজউক/ সিটি প্লান পাশ করানো যাবে কি? যারা আইইবি আওতাভুক্ত নয় এমন জায়গা থেকে পড়ে আইইবির মেম্বার হওয়ার কোন উপায় আছে কি? যে উত্তর দিবে তার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ

Add Comment
comment url